journalist

Journalist assaulted: পোশাক খুলিয়েছে পুলিশ, নালিশ সাংবাদিকের

আট জনের ওই ছবিতে কণিষ্ককে স্পষ্টই চেনা যাচ্ছে। কণিষ্কের দাবি, ছবিটা তুলেছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অভিষেক সিংহ পরিহার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২২ ০৭:০২
Share:

সাংবাদিক এবং চিত্রগ্রাহককে গ্রেফতারের পরে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

দেওয়ালের দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আট জন পুরুষ। পরনে শুধু অন্তর্বাসটুকু। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক সাংবাদিক তথা ইউটিউবার। মধ্যপ্রদেশের এক নাট্য পরিচালকের গ্রেফতারির খবর করতে যাওয়ায় কণিষ্ক তিওয়ারি নামে ওই সাংবাদিক এবং আরও কয়েক জন প্রতিবাদী নাট্যকর্মীকে থানার মধ্যে পুলিশ এ ভাবেই হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ। সেই ছবি ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। স্থানীয় ডিএসপি ওই ঘটনার তদন্ত করছেন।

Advertisement

২ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের সীধী জেলার ঘটনা। ওই জেলার ইন্দ্রবতী নাট্য সমিতির পরিচালক নীরজ কুন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে বিজেপির বিধায়ক কেদারনাথ শুক্ল এবং তাঁর ছেলে গুরুদত্তের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছেন তিনি। পুলিশ নীরজকে গ্রেফতার করার পরেই তাঁর পরিজন এবং স্থানীয় নাট্যকর্মীদের একাংশ থানায় গিয়েছিলেন। অনেকে বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। কণিষ্ক গিয়েছিলেন সেই খবর করতে। অতীতেও জেলার পুলিশ ও নেতাদের নিয়ে খবর করেছিলেন তিনি। কণিষ্কের অভিযোগ, পুলিশ জানতে চায়, কেন তিনি বিধায়কের বিরুদ্ধে খবর করছেন। তাঁকে এবং তাঁর চিত্রগ্রাহককে গ্রেফতারের পরে নিগ্রহ করা হয়। দেওয়া হয় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ, শান্তিভঙ্গের মতো একাধিক গুরুতর ধারা।

আট জনের ওই ছবিতে কণিষ্ককে স্পষ্টই চেনা যাচ্ছে। কণিষ্কের দাবি, ছবিটা তুলেছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অভিষেক সিংহ পরিহার। কণিষ্কের কথায়, ‘‘প্রতিবেদনটি চালানো হলে আমাদের নগ্ন করে শহরে হাঁটাবেন বলে হুমকি দেন ওই অফিসার। পুলিশই ছবিটা ভাইরাল করেছে। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’’ নরেন্দ্রবাহাদুর সিংহ নামে এক নাট্যকর্মীর দাবি, পুলিশ প্রত্যেককে পিটিয়ে জামাকাপড় খুলিয়েছিল। প্রায় ১৮ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার পরে তাঁদের জামিনে ছাড়া হয়।

Advertisement

স্থানীয় এসপি মুকেশকুমার সিংহ যদিও কণিষ্ককে সাংবাদিক বলেই মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘কোতোয়ালি থানায় হাঙ্গামা করা’ কিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু জামাকাপড় খোলানো হল কেন? শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, ‘‘এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ওই ব্যক্তিরা যাতে আত্মহত্যা বা ওই ধরনের অযাচিত কিছু করে না বসে, তা নিশ্চিত করতেই এটা করা হয়। ছবিটার কথা জেনেছি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যে ওই ছবি তুলে ছড়িয়েছে, তাকে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement