বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহালক্ষ্মীর টুকরো টুকরো দেহ। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে এক কামরার একটি ফ্ল্যাট থেকে শনিবার উদ্ধার হয়েছিল টুকরো টুকরো দেহ। ফ্রিজের মধ্যে জমিয়ে রাখা ছিল সেগুলি। ৩০ টুকরো করা হয়েছিল তরুণীর দেহ। মহালক্ষ্মী নামে ওই তরুণীর দেহ কী অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল, সে তথ্যও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
মহালক্ষ্মীর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রক্ত শুকিয়ে গোটা ঘর আঠা আঠা হয়ে ছিল। জামাকাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল। পোকা ঘুরছিল ঘরের মধ্যে। তাঁরা জানিয়েছেন, তরুণীর মাথাটি রাখা ছিল ফ্রিজের একেবারে নীচের তাকে। উপরের তাকে ছিল দু’টি পা। শরীরের বাকি অংশগুলি রাখা ছিল মাঝের তাকগুলিতে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ সোমবার জানিয়েছেন, ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁকে পাকড়াও করার জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে কী কারণে তরুণীকে খুন করা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের করে জেরা করার পরই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে। তিনি বলেন, “অভিযুক্তকে আমরা শনাক্ত করে ফেলেছি। এখন শুধু তাঁকে গ্রেফতার করা বাকি। এই পর্যায়ে এসে আমরা যদি কোনও তথ্য প্রকাশ করি, তাতে তদন্ত প্রভাবিত হওয়া এবং অভিযুক্তের সুবিধা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর দেহ উদ্ধারের অন্তত ১৫দিন আগে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। তরুণীর মা-ও জানিয়েছেন ২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে তিনি মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। তরুণীর ফোন বন্ধ ছিল।
বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন মহালক্ষ্মী। তিনি বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। ঘটনার খবর পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে যান তাঁর মা, স্বামী এবং পরিবারের অন্য পরিজনেরা। তরুণীর মা রবিবার জানিয়েছেন, বাড়ির মালিকই রাতে তাঁকে ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসছে।