প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছ’বছরের বছর ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করার চেষ্টা করেন প্রিন্সিপাল। বাধা দেওয়ায় রাগের মাথায় ওই নাবালিকা খুন করলেন তিনি! রবিবার সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল গোবিন্দ নাট নামে এক ব্যক্তিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের দাহোড় জেলার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ স্কুলের প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতার মায়ের অনুরোধে ওই ছাত্রীকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন গোবিন্দ। স্কুলে যাওয়ার পথেই তাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ওই নাবালিকা চিৎকার-চেঁচামেচি করে বাধা দেয়।
নাবালিকার চিৎকার বন্ধ করতে তার নাক-মুখ চেপে ধরেন গোবিন্দ। ফলে দমবন্ধ হয়ে গাড়ির মধ্যেই জ্ঞান হারায় নির্যাতিতা। স্কুলে পৌঁছে তার দেহ লুকিয়ে রাখেন অভিযুক্ত। বিকেলের দিকে স্কুল ফাঁকা হয়ে গেলে সেই দেহ বার করে স্কুলের পিছনে ফেলে দেন। স্কুল ছুটির পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েন ওই নাবালিকার বাবা-মা। স্কুলে খোঁজ করতে আসেন। তখনই তার দেহ উদ্ধার হয় স্কুলের পিছন থেকে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার।
স্কুলে এবং নাবালিকার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রিন্সিপালের উপর সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশি জেরায় প্রথমে খুনের কথা অস্বীকার করেন গোবিন্দ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গাড়ি করে স্কুলের সামনে ওই নাবালিকাকে নামিয়ে দেন। তার পর কী ঘটেছে, তিনি জানেন না। তবে পরে পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন গোবিন্দ।