Engineer Death

শরীরে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে আত্মহত্যা ইঞ্জিনিয়ারের! এখানেও নেপথ্যে অফিসে কাজের চাপ?

পুণের বহুজাতিক সংস্থার কর্মীর মৃত্যু বিতর্কের মাঝেই ফের একই ধরনের অভিযোগ চেন্নাইয়ে। এক সিভিল ইঞ্জিনিয়রের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির ভিতর থেকে। অভিযোগ, কর্মস্থলে চাপের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পুণের এক বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত তরুণীর মৃত্যু ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। উঠছে অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ। এরই মধ্যে এ বার সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু! এ বারের ঘটনাস্থল চেন্নাই। অভিযোগ, কর্মস্থলে বাড়তি চাপের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার। বিদ্যুতের তার দিয়ে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন।

Advertisement

তামিলনাড়ুর চেন্নাই সংলগ্ন তাজাম্বুরে বাড়ি ওই ইঞ্জিনিয়ারের। গত ১৫ বছর ধরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তিনি। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। এক সন্তানের বয়স ১০ এবং অপর জনের আট বছর। চলতি সপ্তাহে চার দিনের জন্য স্ত্রী, সন্তানেরা বাড়িতে ছিলেন না। গত সোমবার দুই সন্তানকে বাপের বাড়িতে রেখে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই সময়েই এই কাণ্ড ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফিরলে ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী দেখেন, বিদ্যুতের তার পেঁচানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেহ।

প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন তিনি। খবর দেন স্থানীয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে ওই ইঞ্জিনিয়ার এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দল। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই তিনি কর্মস্থলে অতিরিক্ত চাপের কথা বলতেন। গত দু’মাস ধরে মানসিক অবসাদের চিকিৎসাও চলছিল তাঁর।

Advertisement

কেরলের বাসিন্দা অ্যানা সেবাস্টিয়ান পেরায়িলের মৃত্যু ঘিরেও সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুণেতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন বছর ২৬এর অ্যানা। গত ২০ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। কন্যার মৃত্যুর জন্য তাঁর সংস্থার অতিরিক্ত কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন অ্যানার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, কাজের চাপ এতটাই ছিল যে, ঘুম, খাওয়াদাওয়া ভুলে দিনরাত কাজেই ব্যস্ত থাকতে হত অ্যানাকে। ঠিক মতো খেতে পারতেন না তাঁদের কন্যা, পারতেন না ঘুমোতেও। অ্যানার বাবা সিবি জোসেফ জানিয়েছেন, কন্যা মাঝেমধ্যেই কাজের চাপের বিষয়টি তাঁদের কাছে জানাতেন। অ্যানার ওই পরিস্থিতি দেখে তাঁকে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। যদিও কাজের চাপে মৃত্যুর তত্ত্ব এড়িয়ে গিয়েছে অ্যানার সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement