জামতাড়া জেলা জুড়ে পুলিশের কর্মশালায় ব্যাপক সাড়া। — প্রতীকী ছবি।
দেশের সাইবার অপরাধের ঘাঁটি কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে এক মুহূর্ত সময়ও লাগবে না কারও। চটজলদি জবাব আসবে, জামতাড়া। ঝাড়খণ্ডের এই জেলাতে সাইবার মাধ্যমকে ব্যবহার করে যত মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে, তার সমতুল্য দ্বিতীয় কোনও জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ বার সেই ‘ট্রেন্ড’ বদলাতে বদ্ধপরিকর পুলিশ প্রশাসন। শুরু হয়েছে ‘পুলিশ কী পাঠশালা’।
জেলার ১১৮টি পঞ্চায়েতের গ্রন্থাগারে চলছে ‘পুলিশ কী পাঠশালা’। এই কর্মশালায় স্থানীয় ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান এবং সফটওয়্যারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। জানানো হচ্ছে, কেন সাইবার অপরাধ বর্জনীয়। আর গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছেন, জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের তাবড় আধিকারিকরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জামতাড়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার মজরুল হোদা বলেন, ‘‘বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল সাইবার অপরাধ বেশি এমন দু’টি ব্লকের ৩৫টি গ্রন্থাগারে। করমাতান্দ ও নারায়ণপুর ব্লকে যুবকদের সাইবার অপরাধের দিক বোঝানোর পাশাপাশি ব্লকের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও তাঁদের যুক্ত হচ্ছে। তাতে ভাল ফল পাচ্ছি।’’
একই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হতে নিয়মিত চলছে পড়াশোনা। সেই কাজে হাতেকলমে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন জেলার আইপিএস, আইএএস আধিকারিকরা। মজরুল আরও জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে এই কাজ চলছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে তা গতি পেয়েছে। এর ফলে জামতাড়ায় সাইবার অপরাধের প্রবণতাও খানিকটা হলেও কমানো গিয়েছে বলেও দাবি তাঁর। পুলিশের পাঠশালায় পড়ার পর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হয়েছেন অনেকে। তাতে এই কর্মসূচির নাম আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
রাজধানী রাঁচী থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের জামতাড়াকে দেশের সাইবার অপরাধের রাজধানী বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে শূন্যে নামিয়ে আনার প্রয়াস চলছে জোরকদমে।