ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযান। —ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন মাওবাদীর। মৃত মাওবাদীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২২ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের সন্ধান পেতে মোট এক কোটি ৬৭ লাখ টাকার পুরস্কার ছিল বলে জানিয়েছেন বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ। পুলিশের আইজি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মাওবাদী নেত্রী নীতি ওরফে উর্মিলাও। তিনি মাওবাদীদের স্পেশাল জ়োনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা।
শুক্রবার থেকে নারায়ণপুর এবং দন্তেওয়াড়া জেলার সীমানাবর্তী অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অভিযান শুরু করেছিল এসটিএফ এবং ডিআরজির যৌথবাহিনী। ওরচা এবং বারসুর থানার অন্তর্গত নেনপুর-থুলথুলির জঙ্গলে দু’পক্ষের গুলির লড়াই হয়। সেই অভিযানে সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও। তালিকায় রয়েছে একে-৪৭, ৭.৬২ এসএলআর, ইনসাসের মতো স্বয়ংক্রিয় রাইফেল-সহ বিভিন্ন অস্ত্র। মিলেছে বিস্ফোরকও।
নারায়ণপুর ও দন্তেওয়া়ড়া জেলার সীমানা বরাবর জঙ্গলে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলে মাওবাদী দমন অভিযান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ছত্তীসগঢ় গঠন হওয়ার পর থেকে একটি অভিযানে এটিই সব থেকে বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। এক সঙ্গে এত জন মাওবাদীর মৃত্যু এই প্রথম। প্রায় পাঁচ মাস আগে ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কের জেলায় এক অভিযানে ২৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল।