মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ধর্মেন্দ্র সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহার নাগলি থানার লকআপে জল চেয়েছিলেন এক বন্দি। অভিযোগ, জলের বদলে তাঁকে অ্যাসিড দেন এক পুলিশকর্মী। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিকে সেই অ্যাসিড খেতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। বন্দি ধর্মেন্দ্র সিংহের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। পুলিশের সার্কল ইনস্পেকটরের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবি তুলেছেন বন্দির আত্মীয়েরা।
দিন কয়েক আগে লখনউয়ে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় এক বন্দির। এ বার আমরোহার নাগলি থানার লকআপে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। ধর্মেন্দ্রের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর নাগলি থানার সামনে হাতাহাতিতে জড়ায় পড়ুয়াদের দু’টি দল। বিবাদ থামাতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। ধর্মেন্দ্র আদতে সম্ভল জেলার পানসুখা মিলাক গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ এসে তাঁকেই তুলে হেফাজতে পুরে দেয়। ধর্মেন্দ্র এ নিয়ে বলতে গেলে পুলিশ তাঁর কথা শোনেনি বলেও অভিযোগ।
ধর্মেন্দ্রের ভাই পুষ্পেন্দ্র সিংহ দাবি করেছেন, হেফাজতে তাঁর দাদা জল চাইলে তাঁকে জোর করে অ্যাসিড খাইয়ে দেন মত্ত পুলিশকর্মী। প্রথমে ধর্মেন্দ্রকে নাগলির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মেরঠের হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অ্যাসিডের প্রভাবে ধর্মেন্দ্রের অন্ত্রের ক্ষতি হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে পরিবার। সার্কল অফিসার অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।