—প্রতীকী চিত্র।
দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় ১৩ বছরের এক কিশোরকে ধরল পুলিশ। যে মোবাইল থেকে মেল পাঠানো হয়েছিল, সেটির সূত্রে উত্তরাখণ্ডের ওই কিশোরের কাছে পৌঁছন তদন্তকারীরা। কিশোর স্বীকার করেছে, সে-ই মেল পাঠিয়েছিল। তবে নিছক মজা করার জন্য সে এই কাজ করেছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে। কিশোরকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে সতর্ক করে বাবা, মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুন দিল্লি বিমানবন্দরে আচমকা বোমাতঙ্ক ছড়ায়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি মেল আসে। তাতে বলা হয়, দুবাইয়ের উদ্দেশে যে বিমানটি রওনা দেওয়ার কথা, তাতে বোমা রাখা আছে। দুবাইয়ের বিমানটি ১৮ তারিখ ছাড়ার কথা ছিল। মেল নজরে আসার পরেই দিল্লি বিমানবন্দরে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। ঘোষণা করা হয় জরুরি অবস্থা। জরুরিকালীন সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর চত্বর খালি করে বোমার খোঁজে তল্লাশিও চালানো হয়।
পরে জানা যায়, বোমার খবরটি ভুয়ো। আদৌ কোনও বিমানে বোমা নেই। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, যে মেল আইডি থেকে বোমার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেটির আর কোনও অস্তিত্বই নেই।
তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে ওই মেল পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশের একটি দল। ১৩ বছরের এক কিশোর এই কাজ করেছে বলে তারা জানতে পারে। ওই কিশোর নবম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশকে কিশোর জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে এই ধরনের একটি ঘটনা দেখেছিল সে। তাতেও বিমানে বোমা রাখা আছে বলে ভুয়ো মেল পাঠিয়েছিলেন কেউ। তা দেখে তারও ওই ভাবে মজা করতে ইচ্ছা হয়। দিল্লি বিমানবন্দরে মেল পাঠিয়ে কিশোর ওই মেল আইডি ডিলিট করে দিয়েছিল। স্কুলের কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে মোবাইলটি তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিশোর তদন্তকারীদের কাছে এ-ও স্বীকার করেছে, ভয়ে মেলের কথা বাবা, মাকেও সে বলতে পারেনি। পুলিশ তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর।