—প্রতীকী চিত্র।
স্বামীর ব্যবসায়িক কারবারে ‘অসন্তুষ্ট’ স্ত্রী। স্বামী যাতে হেরোইন এবং গাঁজার কারবার থেকে সরে আসেন, সে জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর বাধা, অনুরোধে কান দেননি স্বামী। উপায়ান্তর না দেখে স্বামীর অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন স্ত্রী। মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর মা-ও। আর তাতেই ব্যবসায়ী জামাইয়ের সব রোষ পড়ে শাশুড়ির উপর। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে একেবারে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন দেন জামাই। চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি থেকে বোমবাজি। জামাই এবং শ্বশুরবাড়ির দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে ভাঙে একাধিক দোকান। আহত হন দুই শিশু-সহ মোট পাঁচ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ধুলিয়ান শহর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশবাহিনী। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অবশেষে নামাতে হয় র্যাফকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধুলিয়ান পুরসভার বিভিন্ন পাড়ায় গোপনে হেরোইন বিক্রি করেন হাকিম শেখ। হাকিমের স্ত্রীর এ ব্যাপারে ঘোর আপত্তি। তিনি স্বামীকে বার বার বুঝিয়েও ওই ব্যবসা থেকে তাঁকে সরিয়ে আনতে পারেননি। এ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। তখন মা এবং ভাইকে গোটা ঘটনার কথা জানান হাকিমের স্ত্রী। শাশুড়ি এবং শ্যালকের বাধা পেয়ে একেবারে ফুঁসে ওঠেন হাকিম। প্রথমে জামাই ও শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি, সেখান থেকে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো পড়তে থাকে বোমা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই গা-ঢাকা দেন অভিযুক্ত জামাই। যদিও তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়েই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে গোটা ঘটনার কারণ জানা যাবে।’’