প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখনই আরও এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়াতে এক আবাসনের নীচ থেকে পুলিশ এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা না কি এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার পরশিয়া রোডের একটি আবাসনের সামনে থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতী ওয়ার্ধা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতেন তিনি। তবে রাখি উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরেছিলেন।
শুক্রবার রাতে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী ভাবে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃতার বাবাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। মেয়ের নীচে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করার পরেই তিনি জানতে পারেন।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পুলিশ মৃতার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটন হতে পারে। একই সঙ্গে পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা।