Karnataka Police Dog

‘খুনি’-র খোঁজে বৃষ্টিতে আট কিলোমিটার ছুটল পুলিশের সারমেয়, রুখল দ্বিতীয় খুন

পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখে, এক মহিলাকে মারধর করছিলেন এক ব্যক্তি। মহিলাকে এতটাই আঘাত করা হয়েছিল যে, তিনি জ্ঞান হারাতে বসেছিলেন। সারমেয় গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৪
Share:

পুলিশের সারমেয় টুঙ্গা ২। ছবি: সংগৃহীত।

খুনে সন্দেহভাজনের খোঁজে কর্নাটকের দেবানাগিরিতে বৃষ্টির মধ্যে আট কিলোমিটার ছুটল পুলিশের কুকুর। তার সক্রিয়তায় প্রাণ বাঁচল এক মহিলার। ধরা পড়লেন খুনে অভিযুক্ত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার চাল্লাগিরি তালুকের সান্থেবেন্নুকে পেট্রল পাম্পের কাছে উদ্ধার হয় একটি দেহ। টহলদারির সময় পুলিশের একটি দল সেই দেহ দেখতে পায়। তারা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এসপি উমা প্রশান্তের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের সারমেয় টুঙ্গা ২। সঙ্গে ছিল তার হ্যান্ডলার (পরিচালক)-কে। নিহত ব্যক্তির জ্যাকেট শুঁকে দৌড় শুরু করে টুঙ্গা ২। সঙ্গে দৌড়তে থাকেন তাঁর হ্যান্ডলার। ৮ কিলোমিটার দৌড়নোর পর একটি বাড়ির সামনে গিয়ে থামে সেই সারমেয়। বাড়িতে তখন ঝগড়াঝাঁটি চলছিল।

পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখে, এক মহিলাকে মারধর করছিলেন এক ব্যক্তি। মহিলাকে এতটাই আঘাত করা হয়েছিল যে, তিনি জ্ঞান হারাতে বসেছিলেন। সারমেয় গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার নাম রূপা। আর তাঁকে মারধর করছিলেন রঙ্গস্বামী নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পেট্রল পাম্পের কাছে যে যুবকের দেহ মিলেছিল, তাঁর নাম সন্তোষ। রঙ্গস্বামীর সন্দেহ ছিল, সন্তোষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রূপার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে তাঁকে খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনাস্থলে রঙ্গস্বামীর গায়ের গন্ধ পেয়ে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশের সারমেয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্তোষকে খুনের পর স্ত্রী রূপাকে খুন করার জন্য নিজের গ্রাম চান্নাপুরায় গিয়েছিলেন রঙ্গস্বামী। পুলিশের সারমেয়র কারণে প্রাণ বাঁচে রূপার। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement