ধৃত পড়ুয়াদের মুক্তির দাবিতে ঢাকার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছবি: রয়টার্স
কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র-যুবরা। সেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্রিয় প্রশাসন এবং পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘাতে বাংলাদেশে শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন আরও তিন জন। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংঘাতের জেরে সে দেশে মারা গিয়েছেন ২৭ জন। শুধু ঢাকাতেই মারা গিয়েছেন ১৯ জন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের আঁচ ঢাকা ছাড়াও আরও বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনায় শুক্রবার সে দেশে আরও তিন জন মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে সেই খবর জানা গিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। নিহত তিন জন হলেন, আবদুল গনি, রাকিব এবং রাসেল। ৪৫ বছরের আবদুল এবং ২২ বছরের রাকিবকে শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। সেখানে তাঁদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে রাসেলকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আবদুলকে বাড্ডা থেকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর ছেলে আল আমিন জানান, ঢাকার গুলশনের একটি হোটেলে স্যানিটরি নির্মাণকর্মীর কাজ করতেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বার হন তিনি। পরে তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর পায় পরিবার। রাকিবের মাথায় আঘাত লেগেছিল। তাঁর এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাকিবের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তিনি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ করতেন। নিহত তৃতীয় জন, রাসেলের পরিচয় এখনও মেলেনি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বাংলাদেশে মারা গিয়েছেন ১৯ জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৭। পিটিআইয়ের হিসাবে, মৃতের সংখ্যা ২৫। আবার সংবাদ সংস্থা এএফপি ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার নিয়ে মামলা আগামী রবিবার শুনবে বাংলাদেশের আদালত।