ধৃতদের কাছ থেকে এ সব উদ্ধার হয়। ছবি: কাশ্মীর জোন পুলিশের টুইটার হ্যান্ডল থেকে।
জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে এ বার মাদক পাচারকারী চক্রের হদিশ মিলল। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদও।
নিরাপত্তার কড়াকড়িকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় মাদকের কারবার চলছে বলে সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছিল। সেই মতো তল্লাশি চালাতে গিয়ে বুধবার উরির কামালকোটের দুলাঙ্গা এলাকায় অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়া যায়।
উপত্যকার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রথমে দু’প্যাকেট ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। তা নিয়ে জেরা শুরু হলে বাড়ির কাছে একটি গোশালায় আরও মাদক রাখা আছে বলে পুলিশকে জানান ওই মহিলা। তড়িঘড়ি সেখানে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। জঙ্গলের মধ্যে ওই গোশালা থেকে আরও দু’কেজি ব্রাউন সুগার এবং কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: ‘সিপাহি বিদ্রোহে’ স্তব্ধ রাজধানী, বিহিত চাই, প্রতিবাদে পথে পুলিশ
এ ছাড়াও, ওই মহিলার কাছ থেকে নগদ তিন লক্ষ ২৮ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উরি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
গত ৫ অগস্ট বিশেষ মর্যাদা বিলোপের প্রায় তিন মাস পর, গত ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে জম্মু-কাশ্মীর। তবে এখনও আঁটোসাটো নিরাপত্তা সেখানে। তারই মধ্যে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্তে পাকিস্তানে মাদক পাচার করেই জঙ্গিরা টাকার জোগাড় করছে বলে সন্দেহ তাদের।
আরও পড়ুন: নাকের ডগায় নজিরবিহীন পুলিশি বিক্ষোভ, কোথায় অমিত? প্রশ্ন বিরোধীদের
তবে এই প্রথম নয়, গত দু’বছরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা গিয়েছে বলে উপত্যকা প্রশাসন সূত্রে খবর। এ বছর জানুয়ারি মাসে উপত্যকার তৎকালীন স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা-শিক্ষা বিভাগের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মাদক সেবন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ২০১৬-’১৭য় ৫৩৫ জন কাশ্মীরি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৭-’১৮য় তা সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১০। শুধুমাত্র শ্রীনগরেই ১৮৫ রোগী ভর্তি হন।