পুলিশের উপর হামলার সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
বস্তির সামনে হলুদরঙা একটি ভ্যান এসে দাঁড়াল। সাধারণ পোশাকে সেই ভ্যান থেকে চটপট নেমে বস্তির ভিতরে ঢুকে পড়ল মুম্বই পুলিশের একটি দল। কিছু ক্ষণ পরেই দেখা গেল একটি লালরঙা গাড়ি এসে দাঁড়াল বস্তিতে। সেই গাড়ি থেকে ষণ্ডামার্কা কয়েক নেমে দ্রুত বস্তিতে ঢুকলেন। কয়েক মিনিট পরেই দেখা গেল পুলিশের দলটিকে মারতে মারতে বস্তি থেকে বার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। লাথি, ঘুষি চলছিল। তার মধ্যেই কয়েক জনকে আবার ইট, পাথর নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা গেল।
পড়িমরি করে ওই ষণ্ডামার্কা লোকগুলির হাত থেকে নিজেদের ছাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বস্তি ছাড়লেন পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে আম্বিভালি এলাকার ইরানি বস্তিতে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইরানি বস্তিতে কুখ্যাত দুষ্কৃতী ফিরোজ খানকে ধরতে গিয়েছিল ডিএন নগর থানার একটি দল। ফিরোজের বিরুদ্ধে ৩৫টি অপরাধের মামলা ঝুলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ অগস্ট পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা লুট করেন ফিরোজ এবং তাঁর দলবল। সেই মামলার তদন্তেই ফিরোজের তল্লাশি চালাচ্ছিল ডিএন নগর থানা। মঙ্গলবার তারা খবর পায় ইরানি বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিরোজ। তার পরই তাঁকে ধরতে অভিযানে যান পুলিশের একটি দল। ফিরোজ তখন একটি সেলুনে ছিলেন। পুলিশ আসার খবর পৌঁছে যায় ফিরোজের দলবলের কাছে। সেলুন থেকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে ফিরোজকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পথ আটকে দাঁড়ায় ফিরোজবাহিনী এবং বস্তির কিছু লোকজন। তাঁদের সরিয়ে ফিরোজকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করতেই মারমুখী হয়ে ওঠে ফিরোজবাহিনী এবং কিছু বস্তিবাসী। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাড়া করে বস্তি থেকে বার করে দেওয়া হয়।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৭ সালে একটি তল্লাশি অভিযানে গিয়ে এই ইরানি বস্তিতেই হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। শুধু তাই-ই নয়, এক পুলিশকর্মীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করা হয়।