—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের মধ্যেই এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তিন বছর বয়সি ওই নির্যাতিতা ছাত্রী ভোপালের এক বেসরকারি স্কুলে পাঠরত। অভিযোগ ওই স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গা-ছাড়া মনোভাবের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীর মা। তাঁর অভিযোগ, বিষয়টি জানার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর পরে তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নাবালিকার মায়ের এই অভিযোগের কথা জানিয়েছেন ভোপালের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রিয়ঙ্কা শুক্লও। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। পরে সোমবার তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।”
নির্যাতিতার বয়স মাত্র ৩ বছর ৭ মাস। নাবালিকার মা জানিয়েছেন, মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও, কেউ কোনও ভ্রুক্ষেপই করেননি। পরে পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয় থানার পুলিশ ওই স্কুলে যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তকারী দল। এর পর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বেসরকারি স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কিছু দিন আগেই মহরাষ্ট্রের বদলাপুরে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই খুদে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ঠাণে। সেই ঘটনার পর সম্প্রতি ঠাণের এক স্কুলে আবারও একই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল। এ বার মধ্যপ্রদেশের এক বেসরকারি স্কুলে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ।