Fencing at Myanmar Border

খরচ ৩১ হাজার কোটি, মণিপুরে অশান্তির আবহে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত

ভারত-মায়ানমার সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩
Share:

সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর পরিকল্পনা। —ফাইল চিত্র।

ভারত ও মায়ানমারের পুরো সীমান্তকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো হবে। এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানান, মায়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল ইতিমধ্যে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

Advertisement

মায়ানমার সীমান্ত বরাবর এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালানের অভিযোগ প্রায়শই ওঠে। মণিপুরে অশান্তির অন্যতম কারণ হিসাবেও সীমান্তের এই পরিস্থিতিকেই ব্যাখ্যা করেছেন শাহ। পিটিআইকে ওই সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো ও সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা।

মণিপুর ছাড়াও মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, এর মধ্যে মণিপুরের মোরের কাছে সীমান্ত বরাবর প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁটাতার বসানোর কাজ ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। মণিপুর ও অন্য রাজ্যগুলিতেও ২১ কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।

Advertisement

মণিপুরে অশান্তির আবহে মায়ানমারের সঙ্গে গোটা সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অতীতে ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যন্ত অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের পূবে তাকাও নীতির একটি অঙ্গ হিসাবে ২০১৮ সালে এটিকে চালু করা হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমান্তের দু’দিকেই ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও নথিপত্র ছাড়াই যাতায়াত করতে পারতেন। সেই চুক্তিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement