এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে হাসপাতালের মধ্যেই এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ ওই হাসপাতালের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে। ২২ বছর বয়সি ওই তরুণী মাস দুয়েক আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। গত রবিবার বেশি রাতের দিকে হাসপাতালে তরুণীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় সোমবারই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।
রবিবার রাতের ওই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তের অগ্রগতিতে ওই হাসপাতালের অভিযুক্ত ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়। কল্যাণপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনার অভিষেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, ওই মহিলা গত দু’মাস ধরে সেখানে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন। রবিবার হাসপাতালের মধ্যেই একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন নির্যাতিতাও। তাঁর অভিযোগ, নৈশভোজের পরেও কিছু কাজকর্মের জন্য ডিরেক্টর তাঁকে রাতে হাসপাতালেই থেকে যেতে বলেছিলেন। এর পর বেশি রাতের দিকে ওই ডিরেক্টর তরুণীকে নিজের কক্ষে ডেকে পাঠান। তরুণী সেই কক্ষে প্রবেশ করলে অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে ভিতরে টেনে নেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসপাতালের ডিরেক্টর ওই নার্সকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিলেন। ওই রাতে তিনি নার্সকে ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ। এমনকি বিষয়টি জানাজানি হলে নির্যাতিতার প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁর নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগকারী নার্সের শারীরিক পরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষার পর নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি সংগ্রহ করা হবে।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের পর দেশ জুড়ে প্রতিবাদের স্বর ধ্বনিত হয়েছে। আরও জোরালো হয়েছে হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি। এরই মধ্যে আবারও হাসপাতালের ভিতরে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কানপুরে।