—প্রতীকী চিত্র।
আখ ক্ষেতের মধ্যে পড়ে ছিল নাবালকের দেহ। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত। সেখান থেকে রক্ত বার হয়ে শুকিয়ে গিয়েছে। তার উপর জড়ানো জামার ছেঁড়া হাতা। পরিবারের অভিযোগ, নাবালককে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে বাধা দেওয়ার কারণেই খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সি ওই নাবালকের খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের উভয়েরই বয়স বছর কুড়ির আশপাশে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালক দশেরার জন্য মুজফ্ফরনগরে দাদু-দিদার বাড়িতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই নাবালকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি হয়। পুলিশকেও জানানো হয়। শেষে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আখ ক্ষেতের ভিতর থেকে নাবালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এক গ্রামবাসীই প্রথম বিষয়টি দেখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবালকের দেহ উদ্ধার করেন। দেহের পাশেই কিছু লজেন্স পড়েছিল। একটি ব্লেডও উদ্ধার হয়েছে দেহের পাশে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ব্লেড দিয়েই নাবালকের গলা চিরে খুন করা হয়েছে।
মুজফ্ফরনগরের পুলিশ সুপার (শহর) সত্যনারায়ণ প্রজাপত শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, গ্রামের রাস্তা থেকে মাত্রা ১০০-১২৫ মিটার দূরেই জঙ্গলের কাছে একটি আখ ক্ষেতের ভিতর থেকে নাবালকের দেহ পাওয়া গিয়েছে। নাবালকের জামার একটি হাতা ছেঁড়া ছিল। সেটি গলার পেঁচিয়ে ফেলে রাখা ছিল।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ঘটনায় ধৃত এক তরুণ নিজেকে মৃতের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে দাবি করছেন। তাঁকে জেরা করে একই গ্রামের আরও এক তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশি জেরায় উভয়েই স্বীকার করেছেন খুনের কথা। তাঁরা জানিয়েছেন, নাবালক তাঁদের বাধা দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।