কেন মারধর করা হল, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রতীকী ছবি।
জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে মারমুখী হয়ে উঠল পুলিশ। মহিলাদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া, এক মহিলার চুল টেনে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারার অভিযোগও উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুর জেলার। শুক্রবার ওই জেলার তিলশিবা গ্রামে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। পুলিশের দলটিকে দেখামাত্রই মহিলারা তাদের সামনে রুখে দাঁড়ান। মহিলাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তার পরেও তাঁরা পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ এবং বাধাদানকারী মহিলাদের বচসা হয়।
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, এর পরই পুলিশ সেই বাধা সরাতে মারমুখী হয়ে ওঠে। মহিলাদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, এক মহিলা কিছু বলতে গেলে তাঁর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। তার পর লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ওই দলে থাকা এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর নাম প্রদীপ উপাধ্যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুরজপুরের পুলিশ সুপারকে সংবাদমাধ্যমগুলি জিজ্ঞাসা করলে তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে কোনও কিছু জানেন না। তবে সুরজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুলিকা শর্মা পাল্টা বলেন, “বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের উপর হামলা চালান। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।”