National news

৩৮০০ কোটির জালিয়াতি, ভূষণ স্টিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিএনবি-র, সিবিআই হানা

শনিবার পিএনবি-র তরফে গোটা বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে (আরবিআই) জানানো হয়েছে। ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনায় গত বছরই সংবাদের শিরোনামে আসে পিএনবি। মূল অভিযুক্ত নীরব মোদী এখন লন্ডনে জেলে বন্দি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫০
Share:

ফাইল ছবি।

আরও একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা সামনে এল। ৩ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি)। ‘কাঠগড়ায়’ ‘ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড’। অভিযোগ, পিএনবি-র দেওয়া ঋণের টাকা সংস্থাটি নয়ছয় করেছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে একটি কনসর্টিয়ামে থাকা অনেকগুলি ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড। সেই ঋণের টাকা বেনামি সংস্থায় পাচারও করা হয়েছে। শনিবার পিএনবি-র তরফে গোটা বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে (আরবিআই) জানানো হয়েছে।

Advertisement

শনিবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা, কলকাতা, চণ্ডীগড়, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন শহরে তাদের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংস্থার ডিরেক্টর, প্রোমোটার এবং তাঁদের সহযোগীদের বাসভবনেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর। ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনায় গত বছরই সংবাদের শিরোনামে আসে পিএনবি। মূল অভিযুক্ত নীরব মোদী এখন লন্ডনে জেলে বন্দি।

অভিযোগ, ২০০৭-১৪ সালে মধ্যে ৩৩টি ব্যাঙ্ক ও অর্থনৈতিক সংস্থা থেকে প্রায় ৪৭ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল সংস্থা। তা শোধ করতে না পারায়, ব্যাঙ্ক কনসর্টিয়ামের নেতৃত্বে থাকা পঞ্জাব ব্যাঙ্ক প্রথমে তাদের নেওয়া ঋণকে অনুত্পাদক সম্পত্তি বলে (এনপিএ) ঘোষণা করে। পরে অন্য ব্যাঙ্কগুলিও সেই পথে হাঁটে।

Advertisement

তবে ঋণের টাকা বেনামি সংস্থায় পাচার করার অভিযোগেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক শাখা, কলকাতায় ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শাখা এবং ইউকো ব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক শাখার ঋণ অ্যাকাউন্ট থেকে ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল সংস্থা ২ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা সংস্থার ডিরেক্টর ও কর্মীদের সাহায্যে বিভিন্ন বেনামি সংস্থার অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

দেউলিয়া হয়ে পড়ায় ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল লিমিটেডের নাম অনেক দিন আগেই উঠে গিয়েছে আরবিআইয়ের খাতায়। ব্যাঙ্ক-ঋণ মেটাতে না পারার জন্য দেউলিয়া যে ১২টি সংস্থার নাম প্রথম জানিয়েছিল আরবিআই, ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড ছিল তাদের অন্যতম।

আরও পড়ুন- ২ হাজার কোটির আর্থিক নয়ছয়! ভূষণ স্টিলের দফতরে হানা সিবিআইয়ের​

আরও পড়ুন- মেয়ের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে! ‘শাপমুক্তি’-র জন্য ৩ বছরের শিশুকে বলির চেষ্টা শিক্ষক পরিবারের​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement