প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী— ফাইল চিত্র।
দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও উদ্বেগ কমার পরিস্থিতি হয়নি মোটেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৬২,১২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৮৩৭ জনের। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং নীতি আয়োগ-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির শীর্ষ আমলাদের নিয়ে দেশে করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টির কোনও অবকাশই নেই। আগামী বছরের শেষে করোনার টিকা বাজারে চলে এলে তার যথাযথ সংরক্ষণ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বণ্টনের রূপরেখা নির্ধারণের বিষয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। ভৌগোলিক বৈচিত্রের নিরিখে প্রতিষেধক নির্বাচন ও বণ্টনের বিষয়ে জোর দিয়েছেন মোদী।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিহারের বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধের কাজও দক্ষতার সঙ্গে সামলানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় জানিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে সেই উদাহরণ তুলে ধরে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং প্রতিষেধক বণ্টনের দিশানির্দেশ তৈরির কথা বলেন মোদী।
আরও পড়ুন: করোনা টিকায় অগ্রাধিকার ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বয়স্ক এবং কো-মর্বিডদের
ইতিমধ্যেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে দ্রুত গতিতে। প্রায় প্রতিটি প্রতিষেধকই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘করোনা টিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় স্তরের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী’ গড়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নামল ৮ লক্ষের নীচে, মোট সুস্থ ৬৫ লক্ষ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি কোনও ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা’ নয়। দেশে তখন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮১। সেই আশ্বাসের ৭ মাস পরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ ছুঁতে চলেছে। প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের।