সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
মোদীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বলতে উঠলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার প্রশংসা করলেন মোদী। বললেন, “নেহরুজির বক্তব্য সংসদকে অনুপ্রাণিত করেছে।” এর পাশাপাশি ইন্দিরা আমলের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদী বলেন, “এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে।” তবে ইন্দিরা আমলের প্রশংসা করে মোদী এ-ও বলেন যে, “এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিল।”
সংসদের ভাষণে তাঁর পূর্বসূরিদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে তিন জন প্রয়াত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালের মধ্যেই হারিয়েছে সংসদ।” সংসদের উপর হামলাকে জীবাত্মার উপরে হামলা বলে অভিহিত করেন তিনি। নেহরু, ইন্দিরা, অটলবিহারী থেকে মনমোহন— প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী। পটেল এবং আডবাণীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, “বল্লভভাই পটেল এবং লালকৃষ্ণ আডবাণী সংসদকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
সংসদের গুরুত্বের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “সংসদই আধুনিক গণতন্ত্রের মন্দির।” ২০১৪ সালে প্রথম সংসদে প্রবেশের সময় মাথা নত করে করে প্রণাম করার স্মৃতিচারণও করেন তিনি। ভারত বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠছে, এমনটা জানিয়ে কারও নাম না করেই মোদী বলেন, “ভারতের প্রতি সন্দেহ করার স্বভাব কিছু মানুষের যাবে না।”
জি২০ বৈঠকের সাফল্য কোনও দল বা ব্যক্তির নয়, গোটা দেশের। সংসদে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “পুরনো সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল বিদেশি শাসকের। কিন্তু ভবন নির্মাণের নেপথ্যে ছিল ভারতীয়দের শ্রম এবং অর্থ।” তবে ভবন নির্মাণে বিদেশি শাসকদের ভূমিকা থাকলেও সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অধ্যায়কে স্মরণে রেখেই এগিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন তিনি। এর পাশাপাশি উল্লেখ করলেন যে, পুরনো ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হিসাবে রয়ে যাবে।
নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের শীর্ষ বৈঠক সফল ভাবে আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিরোধী সাংসদেরা। যদিও স্পিকার ওম বিড়লা জানান, ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’তেই এমনটা ঘটেছে। মাইক বন্ধ রাখার অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।
পুরনো কথা ভুলে বিরোধীদের এগিয়ে আসার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “পুরনো কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে এগিয়ে আসুন।” এর পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন।”
জল্পনা ছিলই। সেই মতোই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আগামী মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিনই নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন সাংসদেরা। গণেশের আর এক নাম ‘বিঘ্ননাশক’। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সব বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে ভারত সব স্বপ্ন এবং সঙ্কল্প পূরণ করবে।”
সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনকে ‘ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ’ বলে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জি২০ বৈঠকের সাফল্য ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে। সংসদ ভবনে ঢোকার আগে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চন্দ্রযানের সাফল্যের কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। এই দুই সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “দেশের মধ্যে একটা নতুন আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে বৈচিত্রের কথাও। তিনি বলেন, “জি২০ সম্মেলনে দেশের বৈচিত্রের উদ্যাপন হয়েছে।”