প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
কোনও রাজ্যে বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকে ধাপে ধাপে প্রচারের মাত্রা বাড়াতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এ বিষয়ে তাঁর নির্দিষ্ট নকশাও রয়েছে। আজ ইন্দোরে ‘গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট’-এ প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো বক্তৃতার পরে এ কথা আরও জোর দিয়ে বলছে রাজনৈতিক মহল। তাদের বক্তব্য, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে দ্বৈত ইঞ্জিন (কেন্দ্র এবং রাজ্য) সরকারের প্রচার এবং উন্নয়নের যাবতীয় কর্মসূচিকে সামনে নিয়ে আসা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সেই ভোটমুখী রাজ্যে অসংখ্য সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করা হয়। তৃতীয় এবং শেষ দফায় রাজনৈতিক জনসভা এবং পথসভা।
গত বছর উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে ভোটের আগে এই তিন পর্বে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন মোদী। এ বছর ভোটমুখী ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটকেও তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না। আজ মোদী বলেন, “পর্যটন থেকে আধ্যাত্মিকতা, কৃষি থেকে শিক্ষা — মধ্যপ্রদেশ এক চমৎকার বিনিয়োগ ক্ষেত্র।” আজ মধ্যপ্রদেশের পরে বৃহস্পতিবার ভোটমুখী কর্নাটকের হুব্বালিতে গিয়ে ২৬তম যুব উৎসবের উদ্বোধন করবেন মোদী। সেখানে জি২০-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধিবেশন হবে। সেই উদ্বোধনী বক্তৃতাকে প্রচারের কাজে লাগাবেন মোদী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
আজ মোদী বলেন, ‘‘পোক্ত গণতন্ত্র, রাজনৈতিক স্থিরতা এবং জনসংখ্যায় যুবশক্তির প্রাধান্যের কারণে আজ ভারতে আশাবাদের জন্ম হয়েছে। একশো বছরে একবার যে সঙ্কট আসে (কোভিড) তার মধ্যেও আমরা সংস্কারের পথে হেঁটেছি। ভারত ২০১৪ সাল থেকে সংস্কার, পরিবর্তন এবং কাজ করে দেখানোর রাস্তায় চলেছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযান এই হাঁটায় আরও গতি এনেছে। এর ফলে ভারত বিনিয়োগের আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।’’ যদিও বিরোধীদের দাবি, দেশে অর্থনীতির দশা বেহাল। বিনিয়োগ বাড়ন্ত। বেকারত্বের হার চড়া। সরকার এই সমস্ত কথা মুখে আনে না বলে দাবি তাদের।