Narendra Modi

কংগ্রেসের ৮৫% মোদীর পাল্টা অস্ত্র রাজস্থানে

রাজস্থানে ভোটের দামামা বাজিয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কমিশন খাওয়ার অভিযোগ তুলে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৮:১৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই।

কর্নাটকে তাঁর দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এ প্রসঙ্গে একটি বারের জন্যও মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আজ রাজস্থানে ভোটের দামামা বাজিয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কমিশন খাওয়ার অভিযোগ তুলে সুর চড়ালেন তিনি।

Advertisement

সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ জুড়ে জনসম্পর্ক র‌্যালির আয়োজন করেছে বিজেপি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫১টি জনসভার আজ ছিল প্রথমটি, ভোটমুখী রাজস্থানের অজমেরে। পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে আজ ওই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন মোদী। বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সরকার মানেই দুর্নীতির সরকার। সরকারের অর্থের ৮৫ শতাংশ কাটমানিতে চলে যায়।’’ বিরোধীদের বক্তব্য, কর্নাটকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিহিত চেয়েছিল সে রাজ্যের ঠিকাদারদের সংগঠন। তাতে আদৌ কোনও কাজ হয়নি, এমনকি চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেননি প্রধানমন্ত্রী।

মূলত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, শিক্ষিত বেকারদের ভাতা, মৎস্যজীবীদের সস্তায় ডিজ়েল দেওয়ার মতো পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতিতেই কর্নাটকে কংগ্রেস বাজিমাত করেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, সেখানেও এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের। আর তা বুঝেই আজ ওই জনসভা থেকে মোদী দাবি করেছেন, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে অসার। তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের ‘গ্যারান্টি’ দেওয়ার অভ্যাস পুরনো। পঞ্চাশ বছর আগে কংগ্রেস ‘গরিবি হটানোর’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিছুই হয়নি। ওই প্রতিশ্রুতি পালন না করাটা দেশের মানুষের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা।’’

Advertisement

মোদীর আরও দাবি, তাঁর সরকার আসার পরেই দেশে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, ‘‘নিজের বন্ধু-ব্যবসায়ী শ্রেণির জন্য জাতীয় সম্পদ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া এই সরকারের অন্যতম দেশ-বিরোধী পদক্ষেপ। এই ধ্বংসাত্মক লুট ক্রমশ গরিব, ওবিসি, তফসিলি জাতি ও জনজাতি সমাজের চাকরি কেড়ে নিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement