প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রশ্নে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে মোদী বলেন, ‘‘বর্তমানে যে দেওয়ানি বিধি রয়েছে তা সাম্প্রদায়িক। যা দেশে বিভেদের সৃষ্টি করে। সমাজে বৈষম্যমূলক আইনের কোনও স্থান নেই।’’
বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘ দিনের দাবি, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা। যাতে মুসলিমদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্য নিজেদের রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করেছে। আজ মোদী যে ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি চালু করার পক্ষে আলোচনার দাবি তুলেছেন তা শুনে রাজনীতির অনেকের মত, তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ফের মেরুকরণের রাজনীতি বাড়াতে চাইছে। একই সঙ্গে আরএসএস-এর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণের কথা বলে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কৌশলও নিলেন মোদী।
আজ মোদী বলেন, দেশের বড় অংশের মানুষ মনে করেন, বর্তমানে যে দেওয়ানি বিধি রয়েছে তা সাম্প্রদায়িক দেওয়ানি বিধি। ওই বিধি বৈষম্যমূলক। দেশের শীর্ষ আদালত, সংবিধানের প্রণেতাদের স্বপ্ন ছিল ভেদাভেদহীন সমাজ। দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনকারী আইনের আজকের দিনে কোনও স্থান নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। সময়ের দাবি হল ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি।’’
প্রধানমন্ত্রী ওই যুক্তি দিলেও কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের দবি, ‘‘মোদী সরকারের নিযুক্ত ২১তম আইন কমিশনের রিপোর্ট বলছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে গিয়ে দেশে পিছিয়ে পড়া সমাজকে যেন ভুগতে না হয়। অধিকাংশ দেশই মতপার্থক্যকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে। মতপার্থক্য মানেই বৈষম্য নয়, বরং তা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের পরিচয়। তাই বর্তমান সময়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজন নেই।’’