PM Narendra Modi

Narendra Modi: লখিমপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের বাবা কেন মন্ত্রিসভায়? মোদীর মুখে ‘স্বচ্ছ’ তদন্তের কথা

চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের খুনের অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর থেকে জেলে রয়েছেন আশিস মিশ্র। কিন্তু তাঁর বাবা অজয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বহাল কী করে?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২০
Share:

— ফাইল ছবি

তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক বিক্ষোভে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা ভোট শুরুর ঠিক আগের সন্ধ্যায় এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, যোগী আদিত্যনাথের সরকার এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করছে।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন দ্রুত গতির গা়ড়ি নিয়ে জমায়েতে ঢুকে পড়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের। অক্টোবরেই গ্রেফতার হন আশিস। এখনও তিনি জেলে রয়েছেন। বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও তাঁর বাবা অজয় এখনও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদে বহাল। এই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোট শুরুর ঠিক আগের সন্ধ্যায় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে ভাবে চেয়েছিল, রাজ্য সরকার সে ভাবেই তদন্ত কমিটি গড়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। যে বিচারককে কমিটির মাথায় চেয়েছিল শীর্ষ আদালত, তাঁকেই রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার স্বচ্ছ ভাবে তদন্তের কাজ করছে।’’

Advertisement

গত বছরের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরির ঘটনার তদন্তে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে এবং তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ বার এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী। জানিয়ে দিলেন, তদন্ত এগোচ্ছে সঠিক পথেই। যদিও অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন এখনও আশিসের বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বহাল, তার স্পষ্ট জবাব মেলেনি।
কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি, কৃষকদের ভালর কথা ভেবেই কৃষি আইন আনা হয়েছিল। কিন্তু দেশের স্বার্থে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, এ নিয়ে আর কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। ভবিষ্যৎ বলবে, কেন এই সংস্কার প্রয়োজনীয় ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement