প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ভারত মহাসাগরে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত প্রভাব বাড়াতে পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগন্নাথ যৌথ ভাবে ভিডিয়ো মাধ্যমে সে দেশের আগালেগা দ্বীপে নতুন এয়ারস্ট্রিপ এবং সেন্ট জেমস জেটির উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়াও আরও ৬টি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন দুই নেতা। দু’দেশের দাবি, এর ফলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা শক্তিশালী হবে এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মাসেই মরিশাসে রুপে কার্ড পরিষেবার সূচনা হয়েছে।
মরিশাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ‘মোদী কি গ্যারান্টি’-র প্রচার করে বলেন, “২০১৫ সালে আগালেগার মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা আজ পূরণ করা হল। ভারতে একে ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ বলা হচ্ছে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় মোদী ভারত মহাসাগরের সমস্যাগুলির উল্লেখ করে মরিশাসের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতার কথা বলেন। তাঁর কথায়, “আমরা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সক্রিয় ভাবে নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং সুস্থিরতা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছি। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের তত্ত্বাবধান, যৌথ টহলদারি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও তথ্য, মানবিক সাহায্য, বিপর্যয়ে ত্রাণের মতো সব বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করছি।” তাঁর কথায়, আগালেগায় আজ যে এয়ারস্ট্রিপ এবং জেটির উদ্বোধন হল, তাতে দু-দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও এগোবে। মরিশাসের সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, গত ৬ মাসে এই নিয়ে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথের সঙ্গে তাঁর পঞ্চম বার দেখা হল, যা ভারত এবং মরিশাসের মধ্যে প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী অংশিদারিত্বের প্রমাণ। তাঁর মতে, মরিশাস ভারতে ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ বিশ্বের সদস্য হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র অভিন্ন এবং গত ১০ বছরে দু’দেশের সম্পর্কে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছনো গিয়েছে।” প্রাচীন ভাষা এবং সাংস্কৃতিক মৈত্রীর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউপিআই এবং রূপে কার্ড এই সম্পর্কে আধুনিক ডিজিটাল যোগাযোগ যুক্ত করেছে।