মাকরঁকে বিদায় জানিয়ে দেশের পথে মোদী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
তিন দিনের ইউরোপ সফর সেরে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুরে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর উড়ান।
দু’বছর পরে ফের বিদেশ সফরে গিয়ে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সে ২৫টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক-সহ কথা বলেছেন মোট সাত জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। পাশাপাশি, ওই দেশগুলিতে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সভাতেও যোগ দেন তিনি।
সোমবার জার্মানিতে গিয়ে সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী জুন মাসে মিউনিখের বাভারিয়ায় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানান স্কোলজ।
মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেনে যান মোদী। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। পাশাপাশি, স্ক্যান্ডিনেভীয় (নর্ডিক) দেশ ডেনমার্ক ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রনেতাদের একটি আলোচনা সভাতেও অংশ নেন।
তিন দিনের ঝটিকা সফরের শেষ দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মাকরঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পুতিনের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। ইউরোপ সফরের শুরুতে জার্মানিতে দাঁড়িয়ে মোদীও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, যুদ্ধে আদতে কোনও দেশেরই জয় হবে না। সকলেই হারবে। যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি এবং ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর।