মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সরকার চেয়েছিল যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু মানুষ ঘরে ফিরতে চাইবেনই। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে। ১৭ মে-র পর লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশ জুড়ে যখন কাটাছেঁড়া চলছে, সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হতে চলেছে। এর পরে লকডাউন আরও বাড়ানো হবে নাকি, কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।
তার মধ্যেই সোমবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ওই বৈঠকে শামিল ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ দিনেই ১০০ আক্রান্ত, হাওড়ার রাস্তায় নমুনা সংগ্রহে বসল কিয়স্ক
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, এমনটাই চেয়েছিল সরকার। কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইবেনই। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে আমাদের। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন কোনও ভাবেই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে না পারে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব বুঝেছেন এবং সেই মতো করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। কী ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হতে হবে সকলকে। সকলের পরামর্শ মেনেই গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: অনলাইন বুকিং চালু হতেই টিকিট কাটার হুড়োহুড়ি, বসে গেল রেলের ওয়েবসাইট
এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন নিয়ে এ দিন তাঁকে নিজেদের মতামত জানান মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।