প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দেশবাসীকে বকরি ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কুয়েতের যুবরাজ এবং প্রধানমন্ত্রীকেও ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
আজ মোদী বলেছেন, “ইদের শুভেচ্ছা। প্রত্যেকের জীবন আনন্দ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। এই দিনটি যেন আমাদের সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে। ইদ মুবারক।” কুয়েতের যুবরাজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা, সৌভ্রাত্রের বোধই শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ বিশ্বের গড়তে আবশ্যক।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই পবিত্র উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষকে যেন তা ‘আরও কাছে’ নিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসীকে বকরি ইদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আত্মবিশ্বাসী, এই পবিত্র উৎসব ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষকে আরও কাছে নিয়ে আসবে।”
ঘটনা হল, প্রতি বারই ইদে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান মোদী। ইসলামি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক দৌত্যের কাজেও তাকে ব্যবহার করে সাউথ ব্লক। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ভোট মরসুমে মোদী সরকারের প্রতিটি নীতি এবং পদক্ষেপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে নির্বাচনী কৌশল। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ আনলেও, কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ভোটের লক্ষ্যে মুসলিম তোষণের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় মুসলিমদের বুঝতে হবে কারা তাঁদের ব্যবহার করে চলেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নামে মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’’
দেশের মুসলিমদের অধিকাংশ পসমন্দা বা পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মুসলিম। বিগত কিছু সময় ধরে পসমন্দা ভোটকে কাছে টানার লক্ষ্যে তৎপর মোদী। বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরেও পসমন্দা সমাজ অনুন্নয়নের চক্রে আটকে রয়েছেন বলে অভিযোগ মোদীর। দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে পসমন্দা সমাজের কাছে সরকারের উদ্যোগের সুফলগুলি তুলে ধরায় জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।