প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ঠিক আট মাস আগে লোকসভায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতায় দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতিতে উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার আবার সেই দাবি শোনা গেল তাঁর মুখে।
মোদী অসম ট্রিবিউন পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ভারত সরকারের সময়োচিত হস্তক্ষেপ এবং মণিপুর সরকারের প্রচেষ্টার কারণে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’’ যদিও গত বছরের জুলাই থেকে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসা শুরু হলেও কেন প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি— বিরোধীদের তোলা এই প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। বরং গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দু’দিনের সফরে মণিপুরে গিয়ে কী ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়েছিলেন, সে কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
গত বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।