প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ছবি: সংগৃহীত।
শতবর্ষে পা দিলেন বেলিক্কাকাথু শঙ্করন অচ্যুতানন্দন। রাজনীতির জগতে যাঁর পরিচয় ‘ভি এস’ নামেই। শতক পার করার অবসরে ভি এস-কে শুভেচ্ছা জানানোর বৃত্তে একসঙ্গেই থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
শারীরিক কারণে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অবশ্য এখন ঘরবন্দি। থাকেন তিরুঅনন্তপুরমে ছেলে ভি এস অরুণ কুমারের বাড়িতে। ভি এসের শরীরের অবস্থার কথা ভেবেই সেই বাড়িতে জন্মদিনে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রাখা হয়েছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য দেখা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন সিপিএমে ভি এসের সতীর্থ এবং কেরলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। এক্স হ্যান্ড্লে (পূর্বতন টুইটার) ভি এসের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কথা বলেছেন মোদী। তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কেরলের ভি এসের সঙ্গে নানা বিষয়ে কেমন আলাপ-আলোচনা হত, তার স্মৃতিচারণও মোদী করেছেন।
শতায়ু ভি এস-কে ‘কেরলের ফিদেল কাস্ত্রো’ আখ্যা দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর কথায়, ‘‘সব ধরনের শোষণ থেকে সমাজ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গণ-আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকার একশো বছর! সমাজতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত লড়াই। ভি এস মানে এক অনন্য জীবন, অতুলনীয় অনুপ্রেরণা।’’ ভি এসের জন্মদিনে কেরলেরই কান্নুরে দলীয় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ইয়েচুরি। কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি, রমেশ চেন্নিতালা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন প্রমুখও ভি এসের শতবর্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আলপ্পুঝা জেলায় কৃষক আন্দোলনে শানিল হয়ে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন ভি এস। তাঁর গ্রাম পারাভুরে কেক কেটে এবং সমাজসেবামূলক নানা অনুষ্ঠান করে জন্মদিন উদযাপন করেছে সিপিএম এবং স্থানীয় একাধিক সংগঠনও। তবে এর মধ্যেও ছুঁয়ে থেকেছে বিতর্কের রেশ! জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রথমে নাম ছিল ভি এসের দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সহায়ক এ সুরেশের। স্বজনপোষণের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যিনি আবার ফিরে আসার আবেদন করেছেন, তবে সাড়া মেলেনি এখনও। সুরেশের নাম থাকা নিয়ে সিপিএমেরই একাংশ আপত্তি তোলায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়েই হয়েছে ভি এসের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান।