মোদী-শাহদের ঝড় রুখতে মাঠে কারাটেরাও

বাম-শাসিত ত্রিপুরা দখলে এ বার মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পাড়ি দিচ্ছেন মানিক সরকারের রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, অন্তত তিন দফায় ওই রাজ্যে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও আগরতলা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

বাম-শাসিত ত্রিপুরা দখলে এ বার মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পাড়ি দিচ্ছেন মানিক সরকারের রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, অন্তত তিন দফায় ওই রাজ্যে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আর শাহ ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন সপ্তাহখানেক।

Advertisement

বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের আগ্রাসন রুখে দুর্গ সামলাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে সিপিএমও। বাংলায় জেলা সম্মেলনের ব্যস্ততার মাঝেই ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আগরতলায় আজ, মঙ্গলবারই পৌঁছচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পর দিন আসছেন প্রকাশ কারাট। এক দফা প্রচার সেরে যাওয়ার পরে আরও দু’দফায় রাজ্যে আসার কথা দলের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাটের। পলিটব্যুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা, মহম্মদ সেলিম, সুভাষিণী আলিকেও দেখা যাবে বিজেপি-বিরোধিতায় প্রচারের ময়দানে নামতে।

দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি শাহ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৬ দিন ত্রিপুরায় থাকবেন। মাঝে এক দিন তাঁর যাওয়ার কথা ভোটমুখী দুই পড়শি রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে। আর প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথম দফায় ত্রিপুরায় আসছেন ৮ তারিখ। সে দিন দক্ষিণে শান্তিরবাজার ও উত্তরে কৈলাসহরে সমাবেশ। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ১২ বা ১৩ তারিখ। তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে এসে আগরতলায় প্রধানমন্ত্রীর সভার কর্মসূচি রয়েছে ১৫ তারিখ।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাসগঞ্জ কলঙ্ক, ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

শুধু মোদীই নন, দফায় দফায় ত্রিপুরায় থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই তালিকায় আছেন রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়়ী, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানিরা। আসার কথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালেরও। অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই ত্রিপুরায় ভোটের দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ত্রিপুরায় আসবেন কি না, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।

বামফ্রন্ট মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার-সহ মোট ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সোমবার। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু পাবিয়াছড়়ায় প্রচারে এসে বৌদ্ধ সন্যাসীদের কাছে ধর্মীয় আবেদন করে ও প্যাকেট বিলি করে আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি-র ব্যবহৃত কিছু ভিন্ রাজ্যের গাড়ি নিয়েও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement