এই ছবি প্রকাশের পরই বালিকাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবন কী ভাবে বদলে দিতে পারে তা মোথি দিব্যার কাহিনি শুনলেই বোঝা যায়। একটি তেলুগু সংবাদপত্রে মোথি নামে ওই বালিকার একটি ছবি প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি স্কুলের ক্লাসে উঁকি মারছে সে। ছবিটি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর তার পরেই ক্লাস রুমে পৌঁছে যায় মোথি, সৌজন্যে ওই ছবি।
হায়দরাবাদে গুডিমালকাপুরের দেবল ঝাম সিংহ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। এই স্কুলের কাছে বাড়ি মোথি দিব্যার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের একটি ক্লাসের বাইরে খালি পাত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। ভিতরে তার বয়সী ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে। মোথি অপেক্ষা করছে একটু খাবারের। কখন ক্লাসের ঘণ্টা পড়বে, আর ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের ভাগ পাবে সে-ও।
তেলুগু সংবাদপত্রে মোথির ছবিটি ছাপা হয়েছিল ‘আকালি চুপু’ ক্যাপশন দিয়ে। তেলুগু ওই দুই শব্দের বাংলা ‘ক্ষুধার্থ চাহনি’। সংবাদপত্রের সেই ছবি পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি নজরে আসে এমভি ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল কনভেনর বেঙ্কট রেড্ডির। এমভি ফাউন্ডেশন শিশুকন্যাদের জন্য কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বেঙ্কট রেড্ডি ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, ‘কেন এই শিশুটি তার শিক্ষার অধিকার, খাদ্যের অধিকার পাবে না... এটা লজ্জার’
আরও পড়ুন: মালাবদলের পরেও ‘নাগিন ডান্সে’ মেতে বর, দেখুন কী করলেন কনে
তেলুগু সংবাদপত্রের সেই ছবি:
এরপর তাঁর সংগঠনের সদস্যরা মোথির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাকে ওই স্কুলেই ভর্তি করা হয়। মোথি এখন ওই স্কুলেরই ছাত্রী। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি সে এখন একবেলা মিড-ডে মিলের খাবারও পাবে। সেই ছবিও পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে।
আরও পড়ুন: বিএমডাব্লিউ-র দামে বিক্রি হল একটি মাত্র কাঁকড়া!
মোথির স্কুলে ভর্তি হওয়ার ছবি: