গত বছর নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকে তেলের দামের বৃদ্ধি থমকে ছিল। কিন্তু ২২ মার্চের পর থেকে ফের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকেই দায়ী করা হচ্ছে।
সপ্তাহের প্রথমদিনে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। ফাইল ছবি
সপ্তাহের প্রথম দিনে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। সাত দিনে ষষ্ঠ বার। সোমবার পেট্রলের দর প্রতি লিটারে ৩০ পয়সা এবং ডিজেলের দর ৩৫ পয়সা বেড়েছে। এর ফলে রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের দর হল ৯৯.৪১ এবং ডিজেল ৯০.৭৭ টাকা। দাম বাড়ার ফলে কলকাতায় পেট্রলের দর ১০৪.৬৭ এবং ডিজেল ৯৩.৯২ টাকা।
গত বছর নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকে তেলের দামের বৃদ্ধি থমকে ছিল। কিন্তু ২২ মার্চের পর থেকে ফের জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকেই দায়ী করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করতেই বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্যারেল পিছু ১৩৯ ডলারে (১০,৬০৭.১০ টাকা) উঠে গিয়েছিল। পরে নেমে আসে। কিন্তু এখনও তা যথেষ্ট উঁচুতে রয়েছে। ঘোরাফেরা করছে ১২০ ডলারের (৯,১৫৭.০৬ টাকা) আশেপাশে। ভারতকে তার প্রয়োজনের ৮৫% তেলই আমদানি করতে হয়। ফলে বর্ধিত দাম এই দেশের খরচ বাড়িয়েছে। যা তেল সংস্থাগুলির সমস্যার কারণ।
তবে বিরোধীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশে-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের জন্য থমকে ছিল তেলের দাম বৃদ্ধি। ভোটের ফল বেরোতেই ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে বিরোধীরা নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ভোটের পর জনগণকে রির্টান গিফট’’।
রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে শুরু করেছে ভারত। কিন্তু তা কি দেশের প্রয়োজন আদৌ মেটাতে পারবে? প্রশ্ন সেটাই।