kerala

Bizarre: বাথরুমে পড়ে মৃত্যু একাকী প্রৌঢ়ের, দেহ আগলে বসে থাকল পোষ্য!

সঙ্গী বলতে তাঁর পোষ্য উন্নিকুট্টন। তাকে নিজে হাতেই খাওয়ানো, স্নান করানো— সবই করতেন কেনাক্কল কেকে সোমন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২ ১২:৫২
Share:

পুলিশকর্মী ও তাঁর পোষ্য।

বাথরুমে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর সাতষট্টির এক প্রৌঢ়ের। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। সঙ্গী বলতে তাঁর পোষ্য উন্নিকুট্টন। তাকে নিজে হাতেই খাওয়ানো, স্নান করানো— সবই করতেন কেনাক্কল কেকে সোমন। দু’জনের মধ্যে একটা দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

Advertisement

সোমন এক জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী। কেরলের ইদুক্কিতে পোষ্য উন্নিকুট্টনকে নিয়েই থাকতেন তিনি। গত রবিবার স্নান করতে গিয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বাথরুমে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আর তার পর থেকে সোমনের পাশেই বসেছিল পোষ্য উন্নিকুট্টন। তাঁকে ছেড়ে এক বারের জন্যও নড়েনি সে।

সোমনের জামাই উমেশ জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে ফোন করে কোনও সাড়া পাননি শ্বশুরের। রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি। ঊমেশ বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা। লাইট, ফ্যান চলছিল। কিন্তু শ্বশুরের কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না।” তিনি আরও বলেন, “উন্নিকুট্টন যেন কোনও পরিচিতির জন্যই অপেক্ষা করছিল। আমি বাড়িতে ঢুকতেই ও আমার কাছে ছুটে আসে। তখনও বুঝতে পারিনি কী ঘটেছে।”

Advertisement

এর পরই উন্নিকুট্টন আমাকে বাথরুমের দিকে যেতে ইঙ্গিত করে বার বার ডারতে থাকে। ঊমেশ জানান, উন্নিকে অনুসরণ করে বাথরুমে যেতেই চমকে ওঠেন। দেখেন নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন শ্বশুর সোমন। এর পরই তিনি প্রতিবেশী এবং পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করতে গেলে উন্নি হিংস্র হয়ে ওঠে। সে কিছুতেই সোমনের দেহ নিয়ে যেতে দিচ্ছিল না। বাথরুমের দিকে পুলিশকর্মীরা এগোতেই তাঁদের কামড়াতে যায় উন্নি। ঊমেশ বলেন, “সারা রাত ধরে শ্বশুরের কাছ থেকে সরেনি উন্নি। যদি পরিচিত কেউ আসে, তাই দেহ আগলে বসে অপেক্ষা করছিল। আমি ওকে শান্ত করিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখি। তার পর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement