Karnataka Crime

‘ব্যক্তিগত কারণেই খুন’, কর্নাটকের কংগ্রেস নেতার কন্যা খুনের ঘটনায় দাবি রাজ্যের, বিক্ষোভ বিজেপির

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৬
Share:

(বাঁ দিকে) নেহা হিরেমথে এবং কর্নাটকের মুখমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

কর্নাটকের কংগ্রেস নেতার কন্যা খুনের ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে দক্ষিণের রাজ্য-রাজনীতি যখন উত্তাল, তখন সিদ্দারামাইয়া সরকার জানিয়ে দিল, ব্যক্তিগত কারণেই এই হত্যাকাণ্ড! শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলি, এমনও অভিযোগ তুলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার।

Advertisement

শুক্রবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেন, ‘‘বিজেপি কর্নাটকে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করছে। কিন্তু সেই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিকই রয়েছে।’’

কর্নাটকের বিভিবি কলেজের ক্যাম্পাসে নেহা হিরেমথেকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক সহপাঠী ফয়াজ়ের বিরুদ্ধে। নেহা হুবলী জেলার কংগ্রেস নেতা নিরঞ্জন হিরেমথের কন্যা ছিলেন। বিভিবি কলেজ থেকে কম্পিউটার অ্যাপলিকেশনে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করছিলেন নেহা। গত বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ফয়াজ় নামে এক তরুণ কুপিয়ে খুন করেন তাঁকে।

Advertisement

কী কারণে এই খুন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কর্নাটকের রাজ্য-রাজনীতিতে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, গত কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত রাস্তাঘাটে ওই যুবক তরুণীর পিছু নিচ্ছিলেন। তরুণী তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এর প্রতিশোধ নিতেই কি যুবক তাঁকে খুন করেছেন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ মারছেন যুবক। সকলে সেই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত। তরুণীকে মেরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান যুবক। দ্রুত তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলি একত্রে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। মৃতার বাবা নিরঞ্জনকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘‘অভিযুক্ত যুবক ওই কলেজেরই এক জন ছাত্র ছিলেন। পরে কলেজ ছেড়ে দেন। আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নেহা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সে ফয়াজ়কে পছন্দ করত না। বার বার তাঁকে বলেছিল সে কোনও সম্পর্ক রাখতে চায় না। সেই রাগের বশেই আমার মেয়েকে সাত বার ছুরি দিয়ে কোপালেন ওই তরুণ।’’ নিরঞ্জন আরও দাবি করেন, ঘটনার আগে ফয়াজ়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর। তাঁকে অনেক বার বোঝানোরও চেষ্টা করেন বলে জানান নিরঞ্জন। কিন্তু তার পরও এমন কাণ্ড ঘটে যাওয়ায় মর্মাহত তিনি।

হুবলীর পুলিশ কমিশনার রেণুকা সুকুমার জানিয়েছেন, পলাতক অভিযুক্তকে ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত এগোলে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান রেণুকা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খুন, না কি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতর শুরু হয়ে যায়। আসরে নামে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে, এমন দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পদ্মশিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement