প্রতীকী ছবি।
হাথরস ও বাবরি। উত্তরপ্রদেশের দুই জায়গার নামেই বুধবার আন্দোলিত হল সমাজমাধ্যম। হাথরসের গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার ভয়াবহতায় নেট-জনতার ক্ষোভ যেমন আছড়ে পড়েছে টুইটার-ফেসবুকে, তেমনই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় নিয়েও চলেছে আলোচনা।
এ দিন সকাল থেকেই পুলিশের উপস্থিতিতে হাথরসের নির্যাতিতার দেহ পোড়ানোর ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। নির্যাতিতার পরিবারকে বন্দি করে জোর করে দেহ পোড়ানোর অভিযোগ তুলে সমাজমাধ্যমে #হাসরথহররশকসইন্ডিয়া হ্যাশট্যাগে সরব হন অনেকে। সাতসকাল থেকেই তা ট্রেন্ডিং ছিল টুইটারে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে সমাজমাধ্যমে। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করে #যোগীমাস্টরিজ়াইন হ্যাশট্যাগে সরব হন অনেকে।
দুপুরে বাবরি মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে চলে আসে #বাবরিডেমোলিশনকেস। অভিযুক্তরা সকলেই বেকসুর খালাস পাওয়ায় টুইটারে রায়কে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই। ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’-র আদলে অনেকে লেখেন, তা হলে বাবরি কেউ ভাঙেননি, নো ওয়ান ডেমোলিশড বাবরি। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের টুইট-কটাক্ষ, ‘‘বাবরি মসজিদ নিজে থেকেই ভেঙে পড়েছিল।’’ তেমন সুরেও আরও অনেকে বলেছেন, মসজিদ কি তা হলে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছিল? গুগল সার্চেও বাবরি মসজিদ ও হাথরসের ঘটনা নিয়ে খোঁজ চলেছে। ‘বাবরি মসজিদ’ ও ‘হাথরস কেস’ দু’টি শব্দ দিয়েই গুগল সার্চ হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। দেশে তো বটেই, টুইটারে বিশ্ব ট্রেন্ডিংয়েও উঠে এসেছে ওই দুই বিষয়।
বাবরি রায়ের পর ওই ঘটনা সংক্রান্ত খবর সংবাদ শিরোনামে এবং টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে এলেও তা চাপা দিতে পারেনি হাথরসের ঘটনার ক্ষোভকে। সন্ধে অবধি তিন লক্ষেরও বেশি টুইট হয়েছে হাথরস নিয়ে। ট্রেন্ডিং তালিকায় দিনভরই ছিল হাথরস। এই ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারের প্রশাসনকে দায়ী করে #বিজেপিকিলডডেমোক্রেসি ও #মোদীস্পিকআপফরদলিতস বলেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ফেসবুকে-হোয়াটসঅ্যাপেও বাবরি ও হাথরসকে মিলিয়ে লেখা দু’টি লাইন ঘুরেছে, ‘‘আধুনিক রামায়ণ: রামের কৃপায় বাবরি ধ্বংস। নির্মলার ভাষায়, ‘দৈব দুর্বিপাক’। আর রামরাজ্যে সীতা-দহন তো অবধারিত (হাথরস)।’’