যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েল। ছবি: সংগৃহীত।
কেউ দেশে ফিরতে চান, কেউ দেশের বাইরের ভূখণ্ডকেই নিরাপদ বলে মনে করছেন। ভারতে থাকা ইজ়রায়েলিরা সকলেই আতঙ্কিত। পশ্চিম এশিয়ার প্রান্তে তাঁদের মাতৃভূমিতে কী ঘটে চলেছে, দূর থেকে সেই খবর পাচ্ছেন বটে। কিন্তু কিছু করতে পারছেন না দেশের জন্য।
ইজ়রায়েলের অনেক নাগরিকই ভারতে আছেন। কেউ সাময়িক ভাবে এ দেশে বাস করছেন, কেউ এসেছেন ঘুরতে। ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে আচমকা হামাসের হামলায় তাঁরাও বিধ্বস্ত। কারও বাড়িতে বোমা পড়েছে, কারও প্রিয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ভারতে বসে বসে সেই দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে ইজ়রায়েলিদের। বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের ফেরার উপায় নেই।
হিমাচল প্রদেশের কুলুতে থাকেন ইজ়রায়েলের কেনেরিয়াৎ। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইজ়রায়েলে তাঁর কাকিমা থাকেন। তাঁর বাড়িতে বোমা পড়েছে। ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন। বাড়ির জন্য মন কেমন করলেও আপাতত ভারত ছেড়ে যেতে চাইছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘পরিজনদের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে। কিন্তু এখানে আমি নিরাপদ। নিজের দেশে ফেরার জন্য এত ভয় আগে কখনও পাইনি।’’
কুলুতে ঘুরতে এসেছেন ইজ়রায়েলের শীরা। হামাসের হিংস্রতা, নৃশংসতা ব্যাখ্যা করে বিশ্বের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের এক ইজ়রায়েলি যুবক জানান, তিনি যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান। ইজ়রায়েলের উপর হামাসের অন্যায় আক্রমণের জবাব দিতে হাতে তুলে নিতে চান অস্ত্র। যুদ্ধে যোগ দিতে চান। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দেশে ফেরার বন্দোবস্তও করে ফেলেছেন ওই যুবক।
হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলে অন্যায় ভাবে অনুপ্রবেশ করে মহিলাদের ধর্ষণ এবং শিশুদের হত্যা করার অভিযোগ তুলছেন ভারতের ইজ়রায়েলিরা। অবিলম্বে গোটা বিশ্বের কাছে তাঁদের আবেদন, হামাসকে ঠেকানো হোক। ইজ়রায়েলের অন্দরে যাতে তারা নাক না গলায় সেই ব্যবস্থা করা হোক। তেমনটাই চাইছেন ভারতে থাকা ইজ়রায়েলের নাগরিকেরা।