২০১৬-তে বিহারে মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পরেও মদ পাচারের ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। তাই পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নতুন নতুন কৌশল বার করছে পাচারকারীরা।
সিলিন্ডারের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া মদ। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তার পরেও চোরাগোপ্তা ভাবে মদের পাচার এবং মদ্যপানের অভিযোগ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কী ভাবে মদ পাচার হচ্ছে, এক চোরাকারবারির কৌশল দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন দুঁদে পুলিশ আধিকারিকরাও।
পটনার কদম ঘাট এলাকায় মদ পাচার হচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পটনা পুলিশ। সেই খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় তারা। ভূষণ রাই নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে খবর ছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে অভিনব উপায়ে মদ পাচার হচ্ছে রাজ্যে। ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকেও একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারও হয়।
কিন্তু সিলিন্ডারে করে কী ভাবে মদ পাচার হচ্ছে? বিষয়টি যখন হাতেকলমে দেখান অভিযুক্ত, পুলিশের ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থা হয়। ফাঁকা সিলিন্ডার। দেখে কোনও ভাবেই বোঝার উপায় নেই যে আর পাঁচটা সিলিন্ডারের থেকে এই সিলিন্ডার সম্পূর্ণ আলাদা। সিলিন্ডারের উপরের অংশে কোনও রকম বিকৃতি ধরা পড়েনি। তবে সিলিন্ডারটি উল্টাতেই নীচের অংশে চার কোনা করে কাটা অংশ চোখে পড়ে পুলিশের। তাতে আবার ছিটকিনি লাগানো! সেই ছিটিকিনি খুলতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো রয়েছে মদের বোতল।
২০১৬-তে বিহারে মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পরেও মদ পাচারের ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। তাই পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নতুন নতুন কৌশল বার করছে পাচারকারীরা। এর আগে গোপালগঞ্জে পেঁয়াজের বস্তা থেকে ২৭৫ বাক্স মদ উদ্ধার করেছিলে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে মুজফফরপুরে পাচার হচ্ছিল সেই মদ। যার বাজারদর ছিল প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।