ফেরার পঠানকোট চক্রী, দাবি পাক গোয়েন্দাদের

পঠানকোট হানায় অভিযুক্ত এক জইশ জঙ্গি আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে পাক গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। ওই জঙ্গি হামলার সময়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে হামলাকারীদের ফোনে নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাক গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৯:৫৪
Share:

পঠানকোট হানায় অভিযুক্ত এক জইশ জঙ্গি আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে পাক গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। ওই জঙ্গি হামলার সময়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে হামলাকারীদের ফোনে নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাক গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা।

Advertisement

পঠানকোট হামলার পরে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ওই তদন্তের জন্য তৈরি পাক দলে রাখা হয়েছিল গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের অফিসারকেও। পাক গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে পঠানকোটে এসে তদন্তও করে গিয়েছেন। কিন্তু তার বদলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের পাকিস্তান যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাক গোয়েন্দাদের দাবি, পঠানকোট তদন্ত দ্রুত শেষ করতে চাপ দিচ্ছেন শরিফ। ফলে অভিযুক্তদের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাঁরা। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই বিশেষ জইশ জঙ্গির খোঁজে পাক-আফগান সীমান্তে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সে আগেই আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। পাক গোয়েন্দাcরা জানিয়েছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে জেরার সময়ে ওই জঙ্গিকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আজহার জানিয়েছে, পঠানকোট হানার কিছু দিন আগে ওই জঙ্গি জইশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

পাক গোয়েন্দাদের এই দাবি এখনও বিশ্বাস করতে রাজি নয় দিল্লি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, পঠানকোট হানার মূল মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করেছে মাসুদ ও তার ভাই রউফ। এই দু’জনের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল। তাছাড়া আরও দু’জনের নাম ইন্টারপোলকে জানিয়েছিল দিল্লি। তারা হল সইদ লতিফ ও কাসিফ জান। ২০১০ সালে ভারতের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠায় ইউপিএ সরকার। পঠানকোটে হামলাকারীদের লতিফ ও কাসিফ জানই ফোনে নির্দেশ দিয়েছিল বলে ধারণা ভারতীয় গোয়েন্দাদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, আফগানিস্তানে যে জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে বলে পাক গোয়েন্দারা দাবি করছেন সে লতিফ হতে পারে। কারণ, লতিফকে ফের ভারতে পাঠানোর জন্য ইসলামাবাদকে অনুরোধ করেছে দিল্লি। এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘আইএসআই হয়তো লতিফকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement