—প্রতীকী ছবি।
নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালে। পতঞ্জলির জনপ্রিয় ‘পতঞ্জলি নবরত্ন ইলাইচি সোনপাপড়ি’ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠায় সে বছর সেপ্টেম্বরে বেরিনাগের একটি দোকান থেকে ওই সোনপাপড়ির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গুণমান পরীক্ষার জন্য। সেই পরীক্ষায় ওই সোনপাপড়ির নিম্নমানের এবং তাতে ভেজাল থাকায় রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলায় পতঞ্জলির এক কর্তা-সহ তিন জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিল উত্তরাখণ্ডের একটি আদালত।
পিথোরাগড়ের সিজেএম সঞ্জয় সিংহের আদালতে পতঞ্জলি ফুড অ্যান্ড হার্বাল পার্কের লকসরে অবস্থিত কারখানার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার অভিষেক কুমার, রামনগরের কানহাজি ডিস্ট্রিবিউটরের সহকারী ম্যানেজার অজয় জোশী এবং দোকানদার লীলাধর পাঠককে ৬ মাসের সাজা শুনিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গত কয়েক মাসে একাধিক বার পতঞ্জলি সংস্থার এবং তার দুই কর্ণধার রামদেব ও বালকৃষ্ণকে ভর্ৎসনা করেছে। একই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় কেন্দ্রকেও তিরস্কার করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই কড়া মনোভাবের পরেই ৫ বছর আগের মামলায় পতঞ্জলির কর্তা-সহ তিন জনকে কারাবাসের সাজা শোনানোকে তাই অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন। বহু দিন ধরেই পতঞ্জলির একাধিক পণ্যের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরেও এত দিন কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে প্রশ্নও এই রায়ের পরে উঠেছে।