Uniform Civil Code

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল বাদল অধিবেশনে? আইন কমিশন, মন্ত্রকের মত চাইল সংসদীয় কমিটি

গত ১৪ জুন কেন্দ্র-নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত সাড়ে আট লক্ষ জবাব মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ০৯:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর জন্য বিল আনতে পারে জল্পনা চলছে। এ বার সেই সম্ভাবনা উস্কে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির তরফে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন এবং আইন মন্ত্রকের মত জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩ জুলাই প্রতিনিধি পাঠিয়ে এ বিষয়ে মত জানানোর জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে আইন কমিশন এবং আইন মন্ত্রককে।

Advertisement

এর পরের ধাপেই সংসদীয় কমিটি বিল পেশের জন্য কেন্দ্রকে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ১৪ জুন কেন্দ্র-নিযুক্ত ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে সাড়ে আট লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে বলে আইন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বাদল অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘‘কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তা হলে কি সেই সংসার চালানো যায়?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তা হলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে।’’ তাঁর এই মন্তব্য ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার জন্য রাষ্ট্রকে উদ্যোগী হতে হবে। বিজেপি-আরএসএসের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে অযোধ্যায় রামমন্দির, ৩৭০ রদ হয়েছে, সিএএ বিল পাশ করেছে মোদী সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা এখনও বাকি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিধিকে বিজেপি ‘তুরুপের তাস’ করতে চাইছে বলে বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ। কারণ, এর ফলে মুসলিম সংগঠনগুলি তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে আপত্তি তুলবে। আর সেই সুযোগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সমস্যাগুলি তখন পিছনের সারিতে চলে গিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিই প্রধান হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement