রাজ্যসভায় ডেরেক ওব্রায়েন। ছবি: পিটিআই
কৃষক আন্দোলন নিয়েও সংসদে বাংলার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার সংসদে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার তোপ, আগে দিল্লি সামলান, তার পর বাংলার কথা ভাববেন। কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের প্রসঙ্গেও মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন ডেরেক।
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি উপকণ্ঠে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্না-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বুধবার সংসদের এই নিয়ে আলোচনায় তীব্র বাদানুবাদ হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ফের এই ইস্যুতে আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্দেশে ডেরেকের কটাক্ষ, ‘‘এটা এমন একটা সময়, যখন ছোট ছোট স্বাধীনতার জন্যও সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। মাইক্রোফোন এবং টিভির সম্প্রচার বন্ধ না করে, কিংবা সাংসদদের অধিবেশন থেকে বাইরে না বের করে দেওয়াটাও স্বাধীনতা বলে ধরতে হয়।’’
কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে বহু প্রবাসী ভারতীয় সমাজ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশ সরকারি ভাবেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু নয়াদিল্লি তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অন্য কোনও দেশের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু অন্য দেশ কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর দায় মোদী সরকারের ঘাড়েই ঠেলেছেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘‘কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়ায় এখন আমরা স্পর্শকাতর হয়ে উঠছি। কিন্তু কে বলেছিলেন, ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’? আর এখন আমরা বলছি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ?’’
রাজ্যে কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা ভোট। ভোটে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। এ রাজ্যে এসে কৃষকদরদী বলে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ রাজ্যে ‘পিএম কিসান যোজনা’ চালু না করা নিয়েও ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে পদ্ম শিবির। এমন পরিস্থিতিতেই দিল্লি সামলে তার পর বাংলা সামলানোর কথা বলেন ডেরেক।