নতুন সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
চন্দ্রযান-৩ নিয়ে লোকসভায় আলোচনার সময় বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত বিতর্কের প্রায় দু’মাস পরে ‘সক্রিয়’ হল লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি। আগামী ৭ ডিসেম্বর দুই সাংসদেরই বক্তব্য শুনবে কমিটি। তাই ওই দিন অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত— দুই সাংসদকেই কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ঘটনাটি অবশ্য গত ২২ সেপ্টেম্বরের। স্বাধিকারভঙ্গ করার জন্য একাধিক বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হলেও, সংসদে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠার পরেও রমেশকে নিয়ে স্বাধিকাররক্ষা কমিটি কেন চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ বলেই পদক্ষেপ গ্রহণে এই গড়িমসি কি না, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও। সম্প্রতি ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এই কমিটির অন্যতম সদস্য বিএসপি সাংসদ দানিশও। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা মাত্র তদন্ত না করেই পদক্ষেপ, অন্য দিকে আপত্তিকর মন্তব্য বিতর্কে ‘নিষ্ক্রিয়তা’— বিরোধীদের নিশানায় ছিল লোকসভার দুই কমিটির ভূমিকাও। সেই আবহেই এ বার দুই সাংসদকে ডেকে পাঠাল লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি।
লোকসভায় চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি সাংসদ রমেশ এবং বিএসপি সাংসদ দানিশের মধ্যে। সেই সময় দানিশকে উদ্দেশ করে বিজেপি সাংসদ রমেশ অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরেই এই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় সব বিরোধী দলগুলি। সেই সময় লোকসভার অধিবেশন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। তাতে দিল্লির বিজেপি সাংসদের অসংসদীয় শব্দ উচ্চারণ স্পষ্ট শোনা যায়। বিজেপি সাংসদ বিদুরি যখন এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন, সেই সময় স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কোডিকুনাল সুরেশ। অসংসদীয় এবং অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য বিজেপি সাংসদের কড়া নিন্দা করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যগুলি লোকসভার রেকর্ড থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। বিষয়টি লোকসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানোর আর্জি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লেখেন একাধিক বিরোধী সাংসদ।