ইকরাকে গত রবিবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ঘর ছেড়ে পরদেশে সংসার পেতেছিল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গ্রেফতারির পর তাঁকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হল।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদ থেকে নিখোঁজ হয়েছিলে বছর ষোলোর ইকরা জীভানি। কলেজে যাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। জানুয়ারিতে এ দেশের বেঙ্গালুরু থেকে ইকরা এবং তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে ইকরা। এ দেশে ঢুকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মুলায়ম সিংহ যাদবকে বিয়ে করে বেঙ্গালুরুতে সংসার পাতে সে।
ইকরার কাকা আফজল জীভানি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, গত জানুয়ারিতে নিজের বাড়িতে ফোন করে ইকরা জানায় যে, সে এক ভারতীয়কে বিয়ে করে বেঙ্গালুরুতে সংসার পেতেছে। বাড়ির মেয়ের ফোন পেয়ে পুলিশকে সব কথা জানায় ইকরার পরিবার। পাক পুলিশ তখন ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর কয়েক দিন পরেই গ্রেফতার করা দু’জনকে। ইকরার কাকার অভিযোগ, অনলাইনে লুডো খেলার সময় মুলায়ম নিজেকে মুসলিম বলে তাঁর ভাইঝিকে পরিচয় দিয়েছিল। ইকরাকে ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে ডেকেছিল মুলায়ম। মুলায়মকেও গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে বিয়ে এবং বিদেশি বালিকাকে অবৈধ ভাবে ভারতে আনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর পর ইকরাকে গত রবিবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইকরার বাবা সোহেল জীভানি পিটিআইকে বলেন, “এই ঘটনার ফলে তাঁর পরিবারকে অনেক অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না।” তিনি আরও বলেন, “যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। আমাদের মেয়ে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরে এসেছে।”