সামরিক সহযোগিতা নিয়ে রাজনাত সিংহ বৈঠক করলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসের সঙ্গে। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ায় ভারত সফরে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। তাঁর উত্তরসূরি ঋষি সুনকের জমানাতেও একই নীতি বহাল থাকবে বলে মঙ্গলবার বার্তা দিল লন্ডন।
দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে রাজনাথ বলেন, ‘‘আলোচনায় প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় এবং এর সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।’’
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নয়াদিল্লির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী লন্ডন। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির বড় প্রাপ্তি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য কমানোর উদ্যোগে ব্রিটেনের মতো শক্তিধর দেশকে পাশে টানতে পারা। বস্তুত, গত বছর জনসনের ভারত সফরের সময়ই এর ইঙ্গিত মিলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাগত জানিয়েছিলেন সমুদ্রপথে ব্রিটেনের শামিল হওয়ার সিদ্ধান্তকে। অন্য দিকে চিনের নাম না করে জনসন বলেছিলেন, ‘‘দু’টি দেশই মনে করে উদার, আন্তর্জাতিক আইনের শাসন মানা এবং সমৃদ্ধ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রয়োজন রয়েছে।’’