নাগরোটা টোল প্লাজার সংঘর্ষস্থল। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই নাগরোটায় অভিযান চালিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের মারা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির আসন্ন জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন বানচাল করতে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ফের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করবে বলেও বলা জানাচ্ছে ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট।
জম্মুর নাগরোটায় জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জইশ জঙ্গির মৃত্যু প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুকেশ সিংহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘গোয়েন্দা সূত্রে সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েই জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় আমরা এবং সিআরপিএফ নজরদারি বাড়িয়েছিলাম।’’ তিনি জানান, নিহত জঙ্গিদের জিপিএস ট্র্যাকার থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার তারা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকেছিল।
গত বছরের অগস্টে কেন্দ্র ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার পর এই প্রথমবার উপত্যকার কোনও নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর ৮ দফায় স্থানীয় সংস্থাগুলির ভোট হবে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের ইস্তফার ফলে শূন্য হওয়া আসনগুলিতেও হবে নির্বাচন।
শীত পড়ার আগে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের কাশ্মীর উপত্যকায় অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতে পাকিস্তান সেনাও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘সক্রিয়’। সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ভেঙে ধারাবাহিক ভাবে গুলি-গোলা ছুড়ছে পাক বাহিনী।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের আগে কাশ্মীরে বড় ধরনের অশান্তি তৈরি করাই ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘কাশ্মীরের আমজনতার স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ’-এর তত্ত্ব তুলে ধরা সহজ হবে। অস্বস্তি বাড়বে নয়াদিল্লির।
আরও পড়ুন: বরফে ঢাকা লাদাখে সেনাদের স্বাচ্ছন্দ্য দিচ্ছে ‘গরম তাঁবু’
আরও পড়ুন: মেলেনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বড়দিনের আগেই বাজারে টিকা, জানাল ফাইজার-সহযোগী