ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা আফগানিস্তানের নাগরিকদের ‘উদ্ধারকর্তা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইছে পাকিস্তান।
সূত্রের খবর, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য পশ্চিম ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতোই, আফগানিস্তান থেকেও মানুষ আসেন ভারতে। সে দেশ তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার আগেই যাঁরা এসেছিলেন, এ বার তাঁরা নিজের দেশে ফিরতে চেয়েও পথ পাচ্ছেন না। নয়াদিল্লি-কাবুল বিমান চলাচল বন্ধ। তাঁরা যে জলে পড়ে গিয়েছেন, ব্যাপারটা এমন নয়। তাঁরা আবেদন করলেই ভারত ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার পরs নিজের ঘরে ফিরতে উদ্গ্রীব। অনেকেরই নিকটজন অপেক্ষা করছেন।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারতের ব্যবস্থায় নাক গলাতে চাইছে ইসলামাবাদ। তারা আফগানিস্তানের কাছে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে খবর। অসহায় আফগান নাগরিকদের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাক দূতাবাসের পক্ষ থেকে সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা বরং বিমানে পাকিস্তান চলে আসুন। সেখান থেকে তাঁদের স্থলসীমান্ত পার করে আফগানিস্তানে পাঠানো হবে। এর জন্য আফগান নাগরিককে সঙ্গে রাখতে হবে সে দেশের বিশেষ একটি অনুমতিপত্র।
আপাতত গোটা বিষয়টি নিয়ে নীরবতা পালনই শ্রেয় বলে মনে করছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। কারণ এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান আগাগোড়া উপমহাদেশে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাদের সাধ্যমতো বিভিন্ন উপায়ে চাপ তৈরি করতেও চাইছে দিল্লির উপর।
গত কালই তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো বিমান পরিষেবা চালু করার অনুরোধ সংক্রান্ত চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে। সে ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না সাউথ ব্লক। অন্য দিকে, ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত আফগান ছাত্রদের যাতে ভারতে আসতে দেওয়া হয়, এ ব্যাপারেও দৌত্য শুরু করেছে তালিবান সরকার। যারা নতুন এবং পুরনো বৃত্তি নিয়ে ভারতে পড়তে চান, তাঁদের জন্যও দরজা খোলার অনুরোধ আসছে কাবুল থেকে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ৪৩ জন আফগান ছাত্রছাত্রী আফগানিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডনকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সংযোগ মাঝেমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে তালিবান দেশের দখল নেওয়ার সময় থেকেই। অনলাইনে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। তাঁরা ভারতে এসে ক্লাসে যোগ দিতে চান। সূত্রের খবর, বিমান কবে চালু করা হবে সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও কথা ছাত্রছাত্রীদের দিতে পারছে না ভারত। তবে তাঁরা যাতে দ্রুত ই-ভিসা পেয়ে যান, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।