পাকিস্তানের জেলে যে ভারতীয় বন্দিরা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করার জন্য গত দেড় বছর ধরে দরবার করে যাচ্ছে ভারত। গত কাল বন্দি-তালিকা বিনিময়ের সময়ে দেওয়া নয়াদিল্লির বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, এখনও পর্যন্ত তাতে কর্ণপাত করেনি ইসলামাবাদ। সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে দাবি তোলা হয়েছে, ভারতীয় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের ভিসা জরুরি ভিত্তিতে মঞ্জুর করুক পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জেলে ২৭ জন ভারতীয় বন্দি মানসিক রোগে ভুগছেন বলে খবর। তাঁদের দেখার জন্যই ডাক্তাদের ভিসা চেয়ে গত বছরের মার্চ মাসে পাকিস্তানের কাছে প্রথম বার আবেদন করেছিল মোদী সরকার। বলা হয়েছিল, ২০ জন জাক্তারের একটি দল পাঠাতে চাইছে ভারত। কিন্তু এত জন চিকিৎসককে একসঙ্গে ভিসা দেওয়া নিয়ে টালবাহানা চালিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এর পরে, গত অক্টোবরে ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং পাকিস্তানের তৎকালীন হাইকমিশনার সোহেল মেহমুদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তার পরে ভারতীয় কূটনীতিকদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে শোরগোলে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাকিস্তানের কাছে চারটি শর্ত রেখেছিল ভারত। তা হল— ১) পাকিস্তানে ভারতীয় কূটনীতিকদের হেনস্থা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ২) সে দেশে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ইসলামাবাদের বাইরেও যে কোনও জায়গায় স্বাধীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে দিতে হবে। ৩) ইসলামাবাদে ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য যে আবাসন তৈরি হচ্ছে, তা শান্তিপূর্ণ ভাবে তৈরি করতে দিতে হবে এবং ৪) ইসলামাবাদ ক্লাবে ভারতীয় কূটনীতিকদের সদস্যপদ আটকানো চলবে না।
সূত্রের খবর, এর কোনওটাই এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি মানেনি পাকিস্তান সরকার।